নিজস্ব প্রতিবেদক
রাতের কোন একসময় হাসপাতালের সামনে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে রেখে যায় কে বা কাহারা। ভোর ৫টার দিকে হাসপাতালের লোকজন দেখতে পায় তাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন। ধরাধরি করে ইমার্জেন্সীতে নিয়ে যায় তারা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি সেসময় তার মৃত্যু ঘটে। এরপর পুলিশ এসে তার পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা করে। কিন্তু সার্ভারের সমস্যার কারণে তার পরিচয় জানতে পারেনি। শারীরিকভাবে দেখে মুসলমান ভেবে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে মাটি দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। কবর খোঁড়া শেষ, গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরানো হয়। জানাজার প্রস্তুতি এমন সময় পিবিআইয়ের ফোন আসে পরিচয় পাওয়া গেছে লাশের। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মৃত ব্যক্তি ঢাকা জেলার কেরাণিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর জেলে পাড়া গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল বর্মণের ছেলে শ্রীনাথ চন্দ্র বর্মণ। মৃতের ছেলে দিপলু বর্মণ জানান, তার বাবার মানসিক সমস্যা ছিলো। গত ২২ নভেম্বর সে নিখোঁজ হয়, ২৩ নভেম্বর কেরাণিগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেজাউল হক জানান, গত সোমবার ভোর ৫টার দিকে আমরা দেখতে পাই তাকে। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় খবর পাই হাসপাতালে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্বজন না থাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। পরে ২টার দিকে তার পরিচয় পাওয়া যায়। স্বজনদের খবর দিলে তারা লাশ নিয়ে যায়।