নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেল করোনা ভাইরাসে দেশ তথা পুরো বিশ্ববাজারে যে অর্থনৈতিক ধস নেমেছে তার লোকসান গুনতে হয়েছে ছোট বড় সব প্রতিষ্ঠানকে। আর তার প্রভাব জনজীবনে অনেকটাই বিস্তার করছে। সরকারের প্রতিটি সেক্টরে করোনাকালীন যে বিধিনিষেধ ছিল এখন তার পরিবর্তন হয়ে আগের অর্বস্থানে ফিরেছে। গণপরিবহনে যে বাড়তি ভাড়ার আইন ছিল এখন তা সংশোধন করে পূর্বের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু করোনাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী প্রতিটি লঞ্চ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। পূর্বের মূল ভাড়া ২০ টাকা ছিল সাধারন যাত্রীদের, কেবিনে ছিল ৩০ টাকা। করোনাকালীন সময়ে তা ৫ টাকা বাড়তি করে ঘোষণা করে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দেশে লকডাউন না থাকা সত্ত্বেও এবং সরকারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরকরের সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে লঞ্চমালিকগণের সিদ্ধান্তে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, লকডাউনে লঞ্চ যেমন বসা ছিল ঠিক তেমনি আমরাও বেকার ছিলাম। আমরা অবিলম্বে পূর্বের ভাড়া নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি বাদল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে সমাধানের আশ্বাস দেন।