স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। সারা দেশের মত মুন্সীগঞ্জেও জনসাধারণের ঘরে বাইরে বের হতে মানা। দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁতে ঝুলছে তালা। এমনই পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটে ঘোর অন্ধকারে যেন মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকা প্রাণী গুলো। তার মধ্যে অন্যতম কুকুর। লোকসমাজে ঘুরে বেড়ানো বেশিরভাগ নিরীহ চতুষ্পদী এ প্রাণীটিকে বর্তমানে না খেয়ে অভুক্ত থেকেই দিন পার করতে হচ্ছে
তবে এমনই দুর্দিনে এসব প্রাণীর প্রতি ভালোবাসায় এগিয় এসেছেন মুন্সীগঞ্জের সামাজিক সংগঠন আনমনা প্রাঙ্গণের সদস্যরা। নিজের উদ্যােগে খাবার ও পানি নিয়ে তারা হাজির হচ্ছে এপ্রাণীর কাছে। গত মঙ্গলবার (৩১মার্চ) ও বুধবার (১এপ্রিল) রাতে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে শহরের প্রধান সড়ক ও পুরাতন কাচারি এলাকা থেকে জুবলী রোড সহ অলিগলিতে ঘুরে কুকুরদের শতাধিক বনরুটি ও পানি খাওয়ান সংগঠনের সদস্যরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তারা।
তাদের এ উদ্যোগ যেন জীব প্রেমের জয়ধ্বনি ছড়িয়ে দিতে চায়।
কার্যক্রমে অংশনেয়, আনমনা প্রাঙ্গণের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন সজল, নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক সুজন হায়দার জনি, আনমনা প্রাঙ্গণের
সহ-সভাপতি জুনায়েদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ।
আনমনা প্রাঙ্গণের সভাপতি ও সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন সজল জানান, মঙ্গলবার রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর ট্রাফিক পুলিশ অফিসের সামনের দোকানে আমরা ৩-৪জন চা পান করছিলাম। হঠাৎ চোখ গেলো দোকানের পাশে একটি কুকুরের দিকে। কুকুরটি বসা থেকে উঠতে পারছে না। মনে হলো ক্ষুধার্ত । দোকান থেকে ২ টি বনরুটি নিলাম। আনমনা প্রাঙ্গণে রায়হান কুকুরটি রুটিসহ কফির ওয়ান টাইম গ্লাসে পানি দিলো। খাওয়ার পর কুকুরটি সোজা হয়ে দাঁড়াল। সে থেকে পরিকল্পনা। গত ২দিন যাবত রাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরগুলোকে খাবার দেওয়া হয়েছে। আসুন আমরা আমাদের অবশিষ্ট খাবার রাস্তার পাশে রাখি। ওদের জন্যও একটু খাবারের ব্যবস্থা করি। ওরা বোবা প্রাণি, ওদেরও ক্ষুধা আছে। আছে বেঁচে থাকার অধিকার।