নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণসংহারী করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৮৮৮ জনের। আর এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন। আর নতুন ১ হাজার ৪৮৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬২৪ জন। ফলে সরকারি হিসেবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত আছেন ৮৯ হাজার ৬৩৪ জন। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৮টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৫টি। এতে ৩ হাজার ৭৭৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল। এতে ৩ হাজার ৬৮২ জন শনাক্ত হন। এর আগে গত ২৯ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৪ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। আর গত ১৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৯২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৭ হাজার ৫২৭টির পরীক্ষায় ৪ হাজার ৪ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫ জনের করোনা পরীক্ষা করে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জনে। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব। নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন। গতকাল (৩০ জুন) একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৮৮৮ জনের। নতুন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ ও নারী ৩ জন। এ সময় তিনি এ পর্যন্ত মৃতদের বয়সের হার তুলে ধরে বলেন, ষাটোর্ধ্ব বয়সের মৃত্যুর হার ৪৩. ২৭ শতাংশ, ৫১-৬০ বছরের মৃত্যু ২৮.৮১ শতাংশ, ৪১-৫০ বছরের মৃত্যু ১৪.৯৯ শতাংশ। দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে উঠছেন বিপুল মানুষ। নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে নতুন সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৪ জন। এ নিয়ে মোট ৬২ হাজার ১০২ জন সুস্থ হয়েছেন। নাসিমা আরও জানান, বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৫৪৭ জন। আর বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে ৬৩ হাজার ৮৮২ জন।