নিজস্ব প্রতিবেদক
সংক্রামক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৬৬৮ জন মারা গেলেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯২৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জন। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। নাসিমা জানান, ৮০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৯টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬২টি। এতে ২ হাজার ৯২৮ জন শনাক্ত হন। গত ২ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। গত ১ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল। এতে ৩ হাজার ৬৮২ জন শনাক্ত হন। আর গত ১৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৯২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৭ হাজার ৫২৭টির পরীক্ষায় ৪ হাজার ৪ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। দেশে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১ জনের করোনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জন। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব। নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জন মারা গেছেন। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ২ হাজার ৬৬৮ জনের। এ পর্যন্ত ২ হাজার ১০৪ জন পুরুষ ও ৫৬৪ জন নারী করোনায় মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ১৩০৫ জন, চট্টগ্রামে ৬৭৩, খুলনায় ১৭৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১০০ জন, সিলেটে ১২৫ জন, ময়মনসিংহে ৫৮ জন, রংপুরে ৯০ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১৪৪ জন মারা গেছেন। দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে উঠছে বিপুল মানুষ। নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জন মানুষ সুস্থ হলেন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা।