নিজস্ব প্রতিবেদক
সংক্রামক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৯২৮ জন মারা গেলেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৭৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জন। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৯২ জন। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। নাসিমা জানান, ৮১টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজার ৪৪১টি। পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৭৮টি। এতে ২ হাজার ২৭৫ জন শনাক্ত হন। গত ২ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। গত ১ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল। এতে ৩ হাজার ৬৮২ জন শনাক্ত হন। আর গত ১৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৯২২জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৭ হাজার ৫২৭টির পরীক্ষায় ৪ হাজার ৪ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। দেশে ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫৮ জনের করোনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জন। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব। দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে উঠছেন বিপুল মানুষ। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৯২ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮২ জন মানুষ সুস্থ হলেন। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নাসিমা জানান, এ সময়ের মধ্যে ৫৪ জন মারা গেছেন। এর আগে গত ২৩ জুলাই ও ২০ জুলাই ৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। আর ৭ জুলাই ৫৫ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ২ হাজার ৯২৮ জনের। ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০৬ জন পুরুষ ও ৬২২ জন নারী করোনায় মারা গেছেন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
করোনায় প্রাণ হারালেন আরও ৫৪ জন
আগের পোস্ট