নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণসংহারি করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন আরও ৪৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৭৩৮ জনের। এ সময়ের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮০৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। আর নতুন ১ হাজার ৪০৯ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। ফলে সরকারি হিসেবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত আছেন ৮২ হাজার ৬০ জন। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। নাসিমা বলেন, এই ৬৮টি ল্যাবের মধ্যে ৬৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৩৪টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯টি, যাতে ৩ হাজার ৮০৯ জন শনাক্ত হন। এর আগে গত ১৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। সেদিন ১৮ হাজার ৯২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে একদিনে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৫২৭টির পরীক্ষার কথা বলা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৩০ হাজার ১৯৭ জনের করোনা পরীক্ষা করে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জনে। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব। নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন। গত ১৬ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৭৩৮ জনের। দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে উঠছেন বিপুল মানুষ। নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে নতুন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন। এ নিয়ে মোট ৫৫ হাজার ৭২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত আছেন ৮২ হাজার ৬০ জন। নাসিমা আরও জানান, ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড সাধারণ বেডের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৫। আইসিইউ বেডের সংখ্যা ২০২টি। সারাদেশে সাধারণ বেডের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৪৮টি ও আইসিইউ বেড ৪২১টি। আর বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ৫২৩জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৪ হাজার ৫৯৮ জন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
করোনায় মৃত্যু বেড়ে ১৭৩৮, নতুন শনাক্ত ৩৮০৯
আগের পোস্ট