সিরাজদিখানে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীসহ ১০ বাড়ি লকডাউন ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদি গ্রামের ১০টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার ওই বাড়িগুলো লকডাউন ঘোষণা করেন। করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে দেখা ও জানাযায় অংশ নেওয়ায় সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।
নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার এবং নিহতের দাফন সম্পন্ন করতে যাওয়া গোরখোদক বিল্লাল, নিহতের ভাই হাফেজ জাকারিয়া, নিকট আত্মীয় বাবু তালুকদার, নুরুজ্জামান, সফিউল্লাহসহ প্রতিবেশীদের বাড়িগুলো লকডাউন করে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বাড়িঘরের কেউ যাতে বাইরে বেরুতে না পারে এবং কেউ বাইরে থেকে যেন ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার জানান, আব্দুল্লাহ আল ফারুকী পরিবারসহ ঢাকার গেন্ডারিয়ায় বসবাস করত। বেশ কিছুদিন যাবৎ সে অসুস্থ ছিল। গত বুধবার গুরুতর অসুস্থ হলে ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহ আল ফারুকীকে প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা করোনা উপসর্গ দেখতে পেলে তার নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে ওই দিন বিকাল দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে তাকে ঢামেকের চিকিৎসকরা রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠায়। কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার স্বজনরা আব্দুল্লাহর করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করার তথ্য গোপন করে লাশ নিয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার সকালে নিজ গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করেন। দাফনের বেশ কয়েক ঘন্টা পর রাতে আমরা জানতে পারি সে করোনায় আক্রান্ত ছিল।
তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা এলাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মুস্তফাগঞ্জ মাদরাসা প্রাঙ্গণে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকীর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেন। ওই মাদরাসার মুহতামিম ফারুকী পশ্চিম শিয়ালদি গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে। পরে নিজ গ্রামের বেপারী বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জআমান জানান, ওই মুহতামিম ঢাকায় থাকেন এই কারণে ওনার আক্রান্ত হওয়ার খবর আমাদের কাছে আসেনি। তবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার করার সময় আমি জেনেছি।