নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট ভয়াবহ সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজন সমাজের সকলের সম্মিলিত সতর্কতা, সচেতনতা, মানসিক শক্তি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। করোনার প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত রাষ্ট্রসমূহসহ সারা বিশ^ হিমশিম খাচ্ছে। এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক না থাকায় সংক্রমণ রোধই এখন পর্যন্ত একমাত্র উপায়। তাই সকলেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র। অধিক জনসংখ্যার কারণে এবং আমাদের সামাজিক রীতি-নীতি অনুযায়ী বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা এখানে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ও মারাত্মক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কার কথা বলে আসছেন। কাজেই বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা অনুযায়ী সকলকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা নিশ্চিত করা ব্যতীত মহামারী নিরোধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই সকলকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সময়মত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আল্লাহর রহমতে এখনও আমাদের এখানে সংক্রমণ রোধের সুযোগ রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়ে ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট মুহূর্তে নিজেদের উজাড় করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা সমস্যা বিশ^ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি নতুন সমস্যা এবং তা রোধে চিকিৎসকদের তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। আমাদের দেশেও এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বা প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স তেমন ছিল না। একইভাবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রীরও সংকট ছিল। করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিটও নতুন করে ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার সময়ের সাথে সাথে সব ধরনের প্রস্তুতিই সম্পন্ন করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, ছুটি ঘোষণা, মানুষকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করা, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রদের সহযোগিতা করাসহ সব ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় এখন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা ও সতর্কতার সাথে জেগে ওঠার সময়। সরকারের উদ্যোগে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষা অঞ্চল ভিত্তিক সম্প্রসারিত হয়েছে। সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সরকারের গড়ে তোলা সব প্রস্তুতি ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি দেশের মানুষ সচেতন না হয়ে ওঠে, অযথা বাইরে বের হওয়া বন্ধ না করে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলে। এখন আমাদের সকলেরই উচিত কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, গুজবে কান না দেওয়া এবং আতঙ্কিত না হওয়া। মানসিক ও মানবিক শক্তি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা নিশ্চিত করা।