নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারীর বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে এনজিওগুলো তাদের সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়কারী সংগঠন ‘এডাব’। গতকাল বৃহস্পতিবার এডাবের পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডাবের সদস্য সংস্থাগুলো বরাবরের মতো এ দুর্যোগেও সরকারের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব অর্থায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। এনজিওগুলো তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক স্প্রে ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। একইসঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা সরমঞ্জামাদি বিতরণসহ কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে প্রতিদিনই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আর্থিক ও অন্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে এনজিওগুলো। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে দাতা দেশগুলোর অবস্থাও নাজুক। তাই এ ক্ষেত্রে বিদেশী সহায়তাও লক্ষণীয় নয়। অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত এনজিওগুলোর ঋণ কার্যত্রমও বন্ধ। তাই তারাও তহবিল সংকটে ভুগছে। এ অবস্থায় সরকার এ খাতের জন্যও প্রণোদনা ঘোষণা করায় এ খাতে যথেষ্ট আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্য মানবিক উন্নয়নে কাজ করে এমন বিপুল সংখ্যক এনজিও কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করছে। যারা ঋণ কার্যক্রমে জড়িত নয়, তাদের জন্যও বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচি প্রয়োজন বলে জানায় এডাব। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সবাই মিলেই এ সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। এডাব মনে করে, এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সহায়তা ও প্রণোদনা সহযোগিতা মাঠ পর্যায়ে দরিদ্রদের মধ্যে পৌঁছে দিতে এনজিওগুলো একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এনজিওগুলোর সেই মনোবৃত্তি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীও রয়েছে। তাই সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে এ সংকট মোকাবিলা করা কঠিন হবে না।