নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কোনভাবেই মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এতে করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। উপজেলার মোড় আলাউদ্দিন কমপ্লেক্সের ২য় ও ৩য় তলায় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে দুটি কাউন্টারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১ট পর্যন্ত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বিল পরিশোধের সময় সেখানে সামাজিক দূরত্ব না মানার দৃশ্য দেখা গেছে। শুধু তাই নয় এই জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। নিচ তলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ কম থাকায় হাজার হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে আসে সিরাজদিখান জোনাল অফিসে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করতে আসায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
দেখা যায়, উপজেলার জোনাল অফিসে ৩য় তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন, নেই তাদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব। বিদ্যুৎ অফিস থেকে করা হচ্ছে না স্প্রে, দেয়া হচ্ছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শুধু তাই নয় সেখানে বিদ্যুৎ অফিসের কেউ দেখার বা দূরত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করেননি। এমনই চিত্র দেখা যায় গত তিনদিন ধরেই।
উপজেলায় বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা গ্রাহকরা জানান, সরকার তো সাধারণ ছুটি বাতিল করেছে। এখন বিল না দিলে জরিমানা দিতে হবে। বিল দিতে এসে করোনার ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। জায়গা সংকুলানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। বিল নিচ্ছেন যারা, তারা দ্রুত না নিয়েই নিজেদের পারসোনাল কাজ করে সময় বেশি নিচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়েই বিল দিতে হচ্ছে। এখন আমরা কি করবো? বিল দিতে না আসলে কি জরিমানা মাফ হবে?
আবার অনেকে জানান, কেউ আতঙ্কে বিল না দিয়ে চলে গেছেন। অনেককে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
আবার অনেকে জানান, বিল নিয়েও নানা ধরনের বিপাকে পড়তে হয়। ভৌতিক বিল, রিডিং না দেখে মনগড়া বিল করছে তারা। ৭৬ ইউনিটের পর বিল বৃদ্ধি, সেখানে দেখা গেছে ইউনিট ৭৬ পার না হলেও বিলে ৮০ থেকে ৮৫ ইউনিট এমন আসায় প্রতি ইউনিটে দেড় টাকা করে পুরো বিলটাই দিতে হয়েছে।