নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর আজিমপুর সুপার মার্কেটের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষ। হঠাৎ করে দেখলে মনে হতে পারে করোনা ভাইরাসের কারণে আয়-রোজগার নেই এমন মানুষগুলো হয়তো সাহায্য পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু একটু ভাল করে খেয়াল করলে তাদের পোশাক আচরণ দেখলেই বোঝা যায় তারা কেউই সাহায্যের জন্য দাঁড়াননি।
প্রত্যেকের হাতে ৫০০/১০০০ টাকার নোট। কিছুক্ষণ পর পর তাদের একেকজনকে রাস্তার বিপরীত দিকে একটি ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রির দোকানে বসে থাকা একজন তরুণের কাছে টাকা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
কৌতুহলবশত সামনে এগিয়ে গিয়ে তাদের একজনের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, তারা লালবাগ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা বাসাবাড়িতে টাকা রিচার্জ করে বিদ্যুত কিনে ব্যবহার করেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রিচার্জ করে কেনা বিদ্যুত শেষ হওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুত সংযোগ বিছিন্ন হওযায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা গরমে অস্থিরতায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
লাইন রিচার্জ করতে আসা আনোয়ারুল আজিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আজিমপুর মোড়ে বিদ্যুত অফিসে এতদিন রিচার্জের টাকা নিলেও আজ অফিস বন্ধ করে রেখেছে। সেখানে গেলে জানতে পারেন আজিমপুরে এই দোকানে তাদের এজেন্টের কাছে রিচার্জ করা যাবে। সরকারিভাবে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বাকিতে বিদ্যুত ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়েছে, তারা পেয়েছেন কি-না তা জানতে চাইলে তারা না সূচক জবাব দেন।
আসমা খাতুন নামে এক নারী জানান, কার্ড রিচার্জ করতে এসে আধঘন্টারও বেশি সময় লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার স্বামী ঢাকার বাইরে গিয়ে আটকা পড়েছেন। বাসায় গৃহপরিচারিকার কাছে ছোট বাচ্চা রেখে এসেছেন। বিদ্যুত না থাকায় গতরাতে ঘুমাতে পারেননি বলে জানান।
যে দোকানে বিদ্যুত রিচার্জ করা হচ্ছিল তারা জানান, সম্প্রতি তারা ব্যাংক থেকে এজেন্টশিপ নিয়েছেন। মাই ক্যাশ ও বিকাশে বিদ্যুতের বিল রিচার্জ করেন বলে জানান