নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের নাগরভাগ গ্রামের সুমন দাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিবেশী কিরণ মালা ও প্রতিবেশীসহ গ্রামের অনেক মানুষ। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন কিরণ মালা। বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাগরভাগ গ্রামের হরিপদ দাসের ২ পুত্র সুমন দাস ও কেশব দাস ওই জমিতে ঘর তোলে। প্রায় ৩০ বছর ধরে চলাচলের জন্য ৬ ফুট চওড়া একটি রাস্তা ব্যবহার করতেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ অন্যরা। কিন্তু তাদের তিন শতাংশ জমিসহ ৫-৬ মাস আগে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জহুরা বেগমের পরিবারসহ গ্রামের অনেক মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের প্রধান সড়ক থেকে সুমন দাসের বাড়ির পাশ দিয়ে সরু একটি মাটির রাস্তা। ওই রাস্তার উত্তর প্রান্তে কিরণ মালার বাড়ি। তাদের বাড়ির চারপাশে প্রতিবেশী সুমন দাসসহ সাবেক মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে কিরণ মালার বাড়ির পশ্চিম ও পূর্বপাশ ঘেঁষে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করেছে। সুমন দাস বলেন, ‘রাস্তার জায়গাটি আমার। এতদিন মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রতিবেশীদের চলাচল করতে দেওয়া হয়েছিল। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করা হয়েছে। এতে কার কি সমস্যা হলো, সেটা আমার দেখার বিষয় না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনজাম মাসুদ লিটনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাস্তাটি দিয়ে শুধু কিরণ মালার পরিবার নয়, এলাকার অনেক মানুষ চলাচল করে থাকে। কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন তিনি। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন কিরণ মালার পরিবারসহ গ্রামের অনেক মানুষ। এ বিষয়ে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তার জায়গা কারো মালিকানা হলেও কেউ বন্ধ করতে পারে না। জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অধিকার কারও নেই। এটি আইনসিদ্ধ নয়।
কুকুটিয়ায় যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ
আগের পোস্ট