নিজস্ব প্রতিবেদক
আমীরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা শরীফের পীর সাহেব আলহাজ¦ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, আমরা আল্লাহর বান্দা। আমরা আখেরী নবীর উম্মত। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের মাঝে দুইটি জিনিস রেখে গেলাম। একটি কুরআন, অপরটি সুন্নাহ। তোমরা এই দুইটিকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি মুসলমানরা আজ বিশে^র দিকে দিকে অমুসলিমদের হাতে মার খাচ্ছে। মুসলমানদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আল্লাহর আরশ যেন কেঁপে উঠছে। অমুসলিমদের সহযোগিতা ও তাদের থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা আজ মুসলমানদের ধ্বংস করার ছেলেখেলায় মেতে উঠেছে। মুসলমানরা কুরআন-সুন্নাহ বাদ দিয়ে বিজাতীয় কৃষ্টি-কালচার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। আর এসবই মুসলিম উম্মাহর অধঃপতনের মূল কারণ। এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। হক্কানী পীর-মাশায়েখদের অনুসৃত পথে জীবনকে পরিচালিত করতে হবে। দুনিয়াবী শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য কুরআন-সুন্নাহর পথে অবশ্যই চলতে হবে এবং অন্যদের চলতে উৎসাহিত করতে হবে।
গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলাধীন কামারখোলা খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স ময়দানে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিল ও হিযবুল্লাহ সম্মেলনের শেষ দিন বাদ জুমুয়াহ আখেরি মুনাজাত পূর্ব ভাষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব একথা বলেন।
মাহফিলের শেষদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ¦ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দনি আহমদ হুসাইন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত নাজেমে আ’লা মাওলানা আলী আকবর, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মৌলভী মোঃ ইসমাইল মিয়া, হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট সাহেবজাদা আলহাজ¦ শাহ্ আবু বকর মোঃ ছালেহ নেছারুল্লাহ, আলহাজ¦ মোঃ হায়দার হোসাইন প্রমুখ। মাওলানা আ. জ. ম অহিদুল আলমের উপস্থাপনায় মাহফিলে ওয়াজ করেন ড. মাওলানা মুফতি কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, মাওলানা রুহুল আমীন ছালেহী, মাওলানা রুহুল আমিন আফসারী, হাফেজ মাওলানা বোরহানুদ্দীন ছালেহী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ, মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মাহফিলে আগত সকলকে ঈমান ও আকীদা ঠিক রাখার জন্য সকলকে এলাকায় নিজ উদ্যোগে দ্বীনিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি নিজ সন্তানদের দ্বীনিয়া শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানান। হযরত পীর সাহেব কেবলা দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করে আখেরি মুনাজাত করেন। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।