মিরকাদিমে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, খেলাধূলার মাধ্যমে দেশকে বিশে^ পরিচিত করা যায়। শিক্ষার্থীদের উচিত পড়াশোনার পাশাপশি খেলাধূলায়ও মনোযোগী হওয়া। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে হবে। মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। ভালো খেলোয়াড় হতে হলে সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। বড় হয়ে দেশ সেবায় অবদান রাখতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ভালো করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাই। আমাদের জানা মতে, স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস বিতরণ নিয়ে এমন আয়োজন হয়নি। জেলার সব নেতা-কর্মীদের জন্য বিষয়টি অনুকরণীয় বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌর এলাকায় রিকাবীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে স্কুল ড্রেস বিতরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিকাবী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এসব ড্রেস বিতরণ করা হয়। ড্রেস বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সভাপতি অভি আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন, মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঃ বাতেন সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হৃদয় কৃষ্ণ মন্ডল, রিকাবীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুজ্জামান, রামপাল ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা কবির মাস্টার, পশ্চিমপাড়া নৈদিঘীরপাথর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মিলু ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ। শিক্ষানুরাগী মাসুদ ফকরী খোকন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি অভি আহমেদ ও প্রধান শিক্ষক হৃদয় কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ৬’শর বেশি শিক্ষার্থী আছে। মধ্যে আর্থিক সমস্যা থাকায় নতুন ড্রেস বানাতে পারেনি এমন ২৫০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা করি। বিষয়টি পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলামকে জানালে তিনি সবার ড্রেসের দায়িত্ব নিয়েছেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজনীতির বাহিরে আমাদের অনেক সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহ দিতে ড্রেস দিয়েছি। অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রীসহ পড়াশোনার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।