নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই মুন্সীগঞ্জ জেলা একটি ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ জেলা। এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মরহুম মুন্সী জিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সাহেব। যিনি মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের দাতা গ্রুপের সদস্য। মুন্সীরহাট বাজারের প্রতিষ্ঠাতা এবং যে বারোজন মুন্সীর নেতৃত্বে বিক্রমপুর জেলাকে মুন্সীগঞ্জ জেলা নামকরণ করা হয় তারই দ্বিতীয় সংসারের প্রথম পুত্র একমাত্র মুসলিম জমিদার গজারিয়া উপজেলা ত্রিপুরা রাজ্য সভার সদস্য ছিলেন। তার নাম খান সাহেব গজনো ফর আলী চৌধুরী ওরফে গজন সরকার। উনার পার্শ্ববর্তী জমিদার ছিলেন বসন্তরায় বাবু। ভাগ্যের পরিহাস গজন সরকারকান্দি গ্রামটি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন। এর পূর্ব পার্শ্বে নতুন বসতি স্থাপন করা হয়। এই প্রাচীনতম গ্রামটি রক্ষা করার জন্য কোন সরকারই পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কারণ, উনার ওয়ারিশদাররা একশত পঁচিশ বছর পূর্বে কালিপুর বাজার প্রতিষ্ঠা করে। কালিপুর বাজার জামে মসজিদ, কালিপুর হাইস্কুল, কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইফতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। উনারই নাতী মোঃ খালেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক সাংবাদিক দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এ ঐতিহ্যবাহী গ্রামটিকে রক্ষা করার দাবীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং পূর্বের ও বর্তমান জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবধি কোন প্রতিকার হয়নি। গজারিয়া উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বরাবরেও আবেদন করেছেন। জনস্বার্থে ও জনগণের কল্যাণার্থে নদীর মাঝখানে জেগে উঠা চরটিকে কেটে গ্রামের পাশে প্রবাহিত খরস্রোতা নদীতে বালি ফেললে নতুনভাবে গ্রামটি অনাধিকাল পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে অত্যাধিক জনসংখ্যার কারণে যারা আশ্রয়হীন তারা আশ্রয়ন প্রকল্পেও বসবাস করতে পারছে না। উল্লেখ্য, এ কাজটি সুসম্পন্ন করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী।
গজনকান্দি গ্রামটি রক্ষা জনগণের প্রাণের দাবী
আগের পোস্ট