গজারিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬টি সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়ে দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজে বেশ কয়েকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গজারিয়ার সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনায় জনদূর্ভোগের বিষয়টি এ অঞ্চলের উন্নয়নে পশ্চাৎপদতার ইঙ্গিত বহন করে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ভবেরচর ও লক্ষীপুরের সংযোগ সেতুতে সংযোগ সড়ক নেই। দীর্ঘদিনেও তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এছাড়াও আলীপুর গ্রামের একটি সেতু, বাউশিয়ার কাজলী নদীর উপর সেতু, হোসেন্দী ইউনিয়নে নাজিরপুর গ্রামের সেতুর সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিনেও নির্মিত হয়নি। এতে করে যাতায়াতে যে এসব এলাকার মানুষ প্রতিদিন অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমরা জানি, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ। বিশ্ববাসী তাকিয়ে দেখছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। মুন্সীগঞ্জ জেলাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার। আর সেই জেলার শিল্পাঞ্চল গজারিয়ার সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে অবহেলিত থাকবে, যাতায়াতে মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হবে সেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ গজারিয়া উপজেলায় গড়ে উঠেছে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিক জোন এখানকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের জাতীয় অর্থনীতিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কাজেই, এ উপজেলার শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পৌঁছে দিতে সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরী। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এ উপজেলার বেশকিছু স্থানে সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক নেই। ফলে পথচারীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। নিতে হবে সড়ক উন্নয়নে কার্যকর জোরালো পদক্ষেপ।