নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার ৫নং বাউশিয়া ইউনিয়নে মামলার অজুহাতে একাধিকবার নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম করলেন উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ লিটন মিয়াসহ উপজেলার একাধিক দপ্তর প্রধানগণ বাউশিয়া ইউনিয়ন ও ভবেরচর ইউনিয়ন সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে নতুন বলাকি, আব্দুল্লাহপুর গ্রামে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় বাউশিয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রাম ও ভবেরচর ইউনিয়নের নতুন বলাকি গ্রামের ভোটাররা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। গ্রামবাসীর মতামতে দুটি গ্রামের জনগণ নিজ নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নতুন বলাকি এইচডি খান স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তদন্ত কার্যক্রম আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন, ভবেরচর ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রধান, বাউশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন সিকদার। এছাড়াও ভবেরচর ইউনিয়নের নতুন বলাকি গ্রামের ও বাউশিয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন বলেন, আমার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম নতুন বলাকি। এ গ্রামের জনগণ দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবত ভবেরচর ইউনিয়নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছে। আমি জেনেছি, এই গ্রাম থেকে বাউশিয়া ইউনিয়নে ভোটার হওয়ার ইচ্ছা কোন ভোটারের নেই। আমি নতুন বলাকি গ্রামের ভোটারদের নিয়ে থাকতে চাই। তদন্ত কার্যক্রম প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, নির্বাচন জটিলতা নিরসনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগীদের নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে এগিয়ে আসতে হবে আইনি প্রক্রিয়ায়। নির্বাচন স্থগিত হলে দুটি ইউনিয়নে স্থগিত হবে। এক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত থাকতে পারে না।
গজারিয়ার বাউশিয়া ইউপি নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম
আগের পোস্ট