নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চৌদ্দ কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ বছর দুই হয়েছে সম্পন্ন হয়েছে। চরাঞ্চলের এই গ্রামটিতে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে সড়কের মাটি ভরাটের কাজ করে পায়ে হাঁটার পথ করেন। পরবর্তীতে এলজিইডি পিচ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু গত ক’বছরেই সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ ঢালাই উঠে গেছে। ইটের সুরকি সরে গিয়ে সংকীর্ণ হয়ে গেছে রাস্তা। কোথাও আবার ছোট বড় অনেক খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক স্থানে মাটি সরে গিয়ে সংকুচিত হয়ে গেছে সড়কটি। স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রায় প্রতিদিনই অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টর, ট্রলি, ভটভটি, অটোরিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, মোটরবাইকসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। স্থানীয় ভবেরচর বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার জানান, একসময় পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করলেও নিরাপদ ছিল। কিন্তু এ রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণের ফলে এই অবস্থা হয়েছে। যদিও জানা গেল, এ রাস্তা দিয়ে আলু উত্তোলনের সময় ব্যাপকভাবে অতিরিক্ত মালবাহী গাড়ীর যাতায়াত ও সড়কের আশেপাশে বাড়ী ঘর না থাকায় টেকসই কম হয়েছে। সর্বোপরি জরুরী ভিত্তিতে এই সড়কের সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান বলেন, এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও নির্বিঘ্নে চলাচল করার উপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।