নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। এর ফলে বর্তমানে এই রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বেহাল দশার কারণে এখানে প্রতিদিন কম বেশি যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে একাধিক খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ রাস্তাটির দুই পাশে ঘনবসতি গড়ে উঠায় এখানে বৃষ্টি হলে জলবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ফলে এখানকার রাস্তার দুইধারে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এখানে দিনের পর দিন বৃষ্টির পানি আটকে থাকে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছে। এ কারণে এখানকার রাস্তার পিচ মধ্যখান থেকে উঠে গিয়ে রাস্তাটি বর্তমানে এই খানাখন্দ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। রাস্তার মাঝখানে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা দেখলে মনে হবে রাস্তাটি ক্ষত বিক্ষত। রাস্তার এ অবস্থার কারণে দূর থেকেই যানবাহনের চালকরা হাক ডাক দিতে থাকে যাতে এখান দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চালায়। তা না হলে চলতি যানবাহন দ্রুত চলাচলের কারণে এখানটাতে অনেক সময়ে উল্টে যায় বলে এখানকার লোকজন এমনটাই দাবি করছেন। এসব কারণে এখানে যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হন বলে অনেকেই মনে করছেন। এছাড়া এখানে একটি বাঁক রয়েছে। সে কারণে আগ থেকে অনেক সময়ে এখানকার এ পরিস্থিতি দেখা যায় না। তখন এখানে হঠাৎ করেই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া এ পথের নতুন চালকরাই এ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সবার কাছেই এ রাস্তাটির গুরুত্ব রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে জামালদি বাসস্ট্যান্ড থেকে খুব সহজেই এ পথে গজারিয়া উপজেলা ও গজারিয়া লঞ্চঘাটে আসা যায়। এ পথে অনেক ভারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। সেই কারণে এখানে প্রচুর পরিমাণ বড় বড় যানবাহন চলাচল করে। এদিকে অনেক সময় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সময় অনেক যানবাহন দ্রুত গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য অনেকেই জামালদি বাসস্ট্যান্ড থেকে এ পথের লিংক সড়ক দিয়ে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া আসা করে থাকে। অনেক সময় উল্টো দিকের ভবেরচর থেকেও জামালদীতে যাওয়ার জন্য অনেকেই এ পথে যানবাহন নিয়ে শর্টকাটে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সেইসব কারণে এ সড়কটি অনেকের কাছেই গুরুত্ব বহন করে থাকে বিপদের সময়ে। কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশার কারণে এখন এ পথে চলাচলের সময়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গজারিয়ার হোসেন্দির রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা, যাতায়াতে যানবাহন উল্টে যাচ্ছে
আগের পোস্ট