নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর কুল ঘেঁষে অবস্থিত। হোসেন্দি নদীর পূর্বদিকে মেঘনা নদীতে বছরের পর বছর চর পড়ায় নদীর একটি অংশ সংকুচিত হচ্ছে। সে চরে ভারি শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। চরের জায়গাগুলো নিজ মালিকানা দাবি করে অনেকেই তা বেচাকেনা করছে। তাতে সরকারি জায়গা বেহাত হচ্ছে। এসব খালের কিংবা চরের জায়গা এখনই উদ্ধার প্রয়োজন বলে অনেকেই মনে করছেন।
সাধারণত চর পড়া জায়গাগুলো সিকিস্তি হওয়ার কথা, অর্থাৎ সরকারি জায়গা হওয়ার কথা রয়েছে বিধি অনুযায়ী। কিন্তু এখানে তা দেখা যাচ্ছে না। মেঘনা নদী পথে নদীর লিংক খালে মুন্সীগঞ্জ থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় হোসেন্দি যাওয়ার সময় হোসেন্দির উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে একটি বড় সেতু রয়েছে। এ সেতুটা অনেকটাই বড়। যখন এ সেতুটি নির্মাণ করা হয় তখন এখানকার পশ্চিম দিকে বড় আকারে খালের জলে ভরা থাকতো। সেতু নির্মাণের পর থেকে কয়েক বছরে সেই খালে বড় আকারে চর পড়ে। এখন দেখলে মনে হবে চার ভাগের তিনভাগই চরে পড়ে গেছে। এর ফলে সেখানে আর কোন পানি প্রবাহ নেই।
তাতে বর্তমানে খালের মুখ ছোট হয়ে গেছে। এছাড়া খালে পূর্বপাড়ে কোন বসতির জায়গা কোনসময়ে ভাঙ্গেনাই। সরকারি খালের ওপর নতুন চর জেগে উঠেছে। সেই চর কিভারে ব্যক্তি মালিকানায় যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
হোসেন্দিতে ব্যাপক হারে ভারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এখানে স্বর্ণের দামে জায়গা জমি বিক্রি হয়ে থাকে। এ এলাকাটি ঢাকা চট্টগ্রামের পাশে থাকায় এখানে জমিজমার দাম সবচেয়ে বেশি। শিল্পপতিদের চোখও এদিকে রয়েছে। এখানকার খালের জমি নদীর জমি চড়া দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এখানকার চরের জমিতে গড়ে উঠছে ভারি ভারি শিল্প কারখানা।