নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে নামসর্বস্ব কিছু অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুক পেজ থেকে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের ইদ্রিস আলী দেওয়ানের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী সোহেল রানা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে। এসব পোস্টে দাবি করা হয়, নিরীহ এলাকাবাসীকে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে সোহেল রানার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী সোহেল রানার স্ত্রী ফারজানা আক্তার।
এসময় তিনি বলেন, আমার স্বামী সোহেল রানা দীর্ঘ চার বছর ধরে সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। আমাদের পাশের বড় রায়পাড়া গ্রামের মাসুদ এবং রিফাত নামে দুইজন ছেলে আমার স্বামীকে অনুরোধ করে তাদেরকে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রথমে তিনি তাদেরকে না করে দেন, তবে পরবর্তীতে তাদের অনুরোধে তিনি রাজি হন। সৌদি আরব যাওয়া এবং ভালো কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার চুক্তিতে ছয় লক্ষ টাকা করে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। তারা স্বেচ্ছায় সেই টাকা পরিশোধ করে গত বছরের ডিসেম্বরে সৌদি আরব যান এবং ভালো কোম্পানিতে তাদের চাহিদা মত বেতনে চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পর তারা আমার স্বামীকে ধন্যবাদ পর্যন্ত জানায়। কিন্তু গত জানুয়ারি মাস থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করতে থাকে, তাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে বেশি আদায় করা হয়েছে এবং সেই টাকা তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সাম্প্রতিক এসব বিষয় নিয়ে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তথাকথিত অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। বিষয়টি আমরা গজারিয়া থানা পুলিশকে জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সৌদি আরব প্রবাসী সোহেল রানা বলেন, তারা স্বেচ্ছায় আমার কাছে টাকা দিয়ে সৌদি আরব এসেছে। ভালো চাকরি ও থাকার ব্যবস্থা আমি করেছি। গত ফেব্রুয়ারিতে আমি ছুটিতে দেশে গিয়েছিলাম এবং চলতি মাসের ৯ তারিখে আমি আবার সৌদি আরবে ফিরে আসি। এর মধ্যে হঠাৎ করে তাদের পরিবারের লোকজন বলা শুরু করেছে, আমি নাকি তাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে বেশি আদায় করেছি। এই টাকা তাদের ফেরত দিতে হবে। একটি পক্ষের ইন্ধনে ইচ্ছাকৃতভাবে তারা আমার পরিবারের মানহানি করছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযোগকারী মাসুদ এবং রিফাতের পরিবারের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।