নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া মৌজায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মোঃ আবুল হোসেন গংদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী চেমন আরা বেগম জানান, ১৫ বছর যাবৎ পুরান বাউশিয়া মৌজায় ২১০ নং খতিয়ানে বিভিন্ন দাগে ৭০ শতাংশ জায়গা ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে বসতবাড়ী নির্মাণসহ গাছ-গাছালি রোপণ করে ভোগদখল করে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে উক্ত সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ করতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগসাজশে উনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে জনৈক মোঃ আবুল হোসেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধার পদবী ব্যবহার করে স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে চাইছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা জজ আদালত উক্ত তপছিল বর্ণিত সম্পত্তি আমাদের নামে রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন জানান, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে চেমন আর বেগম, স্বামী মোঃ শফিকুল ইসলাম গংদের সাথে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত নির্দেশ জারী করেন যেন এই মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত তপছিল বর্ণিত জমিতে কেউ প্রবেশ করতে না পারেন। উক্ত তপছিল বর্ণিত সম্পত্তি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার থানা প্রাঙ্গণে এক সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সঞ্চালনা করেন গজারিয়া থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ মুক্তার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, বাউশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার বিপ্লব, মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব পাঠান মতু, শহিদুল ইসলাম, আবুল হোসেন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমঝোতার জন্য দু’পক্ষকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থানা প্রাঙ্গণে বসেছি। উনাদের বুঝার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। আশা করি, সমঝোতা হয়ে যাবে।
গজারিয়ায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ
আগের পোস্ট