নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় একাধিক জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণ করছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অন্তত দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক কোমলমতি শিশুশিক্ষার্থী। বিদ্যালয়গুলোর দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরাসহ কক্ষগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় যেকোনো সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে আরো বেশি আতঙ্কে আছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আধারমাণিক ও ১৩নং টেঙ্গারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটির পুরনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে দুই বছর আগেই। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পৈক্ষারপাড়, ৫৯নং হোগলাকান্দি, জামালদী, দক্ষিণকান্দি বাউশিয়া, পোড়াচক বাউশিয়া দক্ষিণকান্দি, জৈষ্ঠীতলা, চরচৌদ্দকাহনিয়া ও ১৫নং বড় ভাটেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। গত ২৫ এপ্রিল ভূমিকম্পে বড় ভাটেরচর বিদ্যালয়টির অধিকাংশ দেয়াল ও ছাদে বড় ফাটল দেখা দেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিত্রী রানী রায় জানান, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাতজন শিক্ষক মাথার ওপর ফাটল নিয়ে পাঠদান ও গ্রহণে মনোনিবেশ করতে পারছে না। সম্প্রতি শিক্ষকদের অফিস কক্ষের ছাদের পলেস্তার খসে পড়েছে। গজারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল হক ভূঞা জানান, দুটি পরিত্যক্তসহ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে কয়েক দফা জানানো হয়েছে।
গজারিয়া প্রকৌশলী কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়গুলোর পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজের কোনো অগ্রগতির খবর আমাদের কাছে নেই।
গজারিয়ায় একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান ; আতঙ্কে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা
আগের পোস্ট