নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে জনমনে স্বস্তি ফিরলেও গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গজারিয়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ভোরে হঠাৎ ঝড়ের তীব্রতায় ঘুম ভেঙে যায় অনেকের। কয়েক মিনিট স্থায়ী বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা এবং শত শত হেক্টর জমির ভুট্টাক্ষেত। আধা পাকা ধানক্ষেত মাটির সাথে মিশে গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে চলা অস্বস্তিকর গরমে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছিল মানুষ।
সরেজমিনে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া, আড়ালিয়া, ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দী, আলীপুরা, ইমামপুর ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী, করিমখাঁ, বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া, চর চৌদ্দকাউনিয়া, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া, শিমুলিয়া, হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিরচর, নাজিরচর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আঞ্চলিক সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অনেক স্থানের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা যায়। টেঙ্গারচর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে দেখা গেছে পাকা ধান, ভুট্টা গাছ মাটির সাথে মিশে গেছে।
মিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, তিন কানি জমির পাকা ধান ঝড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এতে তার বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বড় রায়পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রধান জানান, আকস্মিক ঝড়ে তার বাড়ির তিনটি সেগুন গাছ উপড়ে গেছে। গ্যারেজের ঘর ভেঙ্গে গেছে। রায়পাড়া নদীর ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা ৯/১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। সারাদিন উপজেলাবাসী ছিল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন স্থানেই বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে ছিল সাধারণ মানুষ। তবে সারাদেশের ন্যায় গজারিয়ায়ও কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিলায় দুঃসহ গরমের পর স্বস্তি ফিরে এসেছে মানুষের মাঝে।