নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় যথাযথ মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ৫১ বছরের স্বীকৃতি পায়নি শহীদ ও যুদ্ধাহত এই পরিবারগুলো। গতকাল সোমবার ৯ মে গজারিয়ায় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আলোচনা সভা, বিকালে গণকবরের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ, মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন। বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ, মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, মোঃ কামরুল হাসান ফরাজী, শহীদ পরিবারের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন ঠাকুর, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম জয়, আজিজুল হক পার্থ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৯ মে গজারিয়াবাসীর জন্য একটি ট্রাজেডির দিন। ১৯৭১ সালের এইদিনে ভোরে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম নৃশংসতার শিকার হয়ে গোসাইরচর গ্রামের ৩৬০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছিল। সেদিন যারা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন তাদের অনেকেই এখনো আহত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা দেওয়া হলেও গজারিয়ার গোসাইরচর গ্রামের যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারগুলো পায়নি কোন স্বীকৃতি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এসব পরিবারের পুনর্বাসনেও নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। শহীদ ও যুদ্ধাহত পরিবারগুলোর দাবি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের স্বীকৃতির।