নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর রমজানবেগের গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না দেওয়ায় আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে চাঁদাবাজরা বুকের ওপরে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করেছে। আঘাতপ্রাপ্ত আলমগীরকে গত বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টার দিকে। আলমগীর একজন দিনদরিদ্র লোক। সে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। গত শুক্রবার আলমগীরের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ের পাকা কথাবার্তার জন্য পাশের গ্রামের ছেলেপক্ষের লোকজন বাড়িতে আসার কথা ছিল। সেইলক্ষ্যে আলমগীর অতিথিদের জন্য দুপুরের খাবার দাবারের আয়োজনে চরকিশোরগঞ্জের ডেকোরেটরের দোকান মালিক বাতেনের বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার পর আলমগীরের ওপর চাঁদাবাজ সাঈদ দলবল নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে। আর তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। আলমগীর সেই সময়ে চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। আর এ ঘটনায় সাঈদ তার দলবল নিয়ে আলমগীরের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময়ে সাঈদের দলবল আলমগীরের অনুষ্ঠানের ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর সাঈদ আলমগীরের বুকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনার পর আলমগীর বাঁচার লক্ষ্যে ক্ষুরের আঘাত নিয়ে বাতেনের বাড়ির পশ্চিমপাশের খালের পানিতে ঝাঁপ দেয়। সেই খালের পানিতে সাঈদ দলবল নিয়ে নৌকা দিয়ে আলমগীরের খোঁজ করে। সেইসময়ে সাঈদ নৌকা থেকে পানি ও কচুরিপানার মধ্যে লুঙ্গি দেখে বাঁশ দিয়ে বারবার আঘাত করে। তখন জীবন বাঁচাতে আলমগীর কচুরিপানার মধ্যে সাঈদের ভয়ে নাক ভাসিয়ে রাখেন। পরে গ্রামবাসীরা আলমগীরকে খাল থেকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা আলমগীরকে চামড়ার দু’পাল্লায় প্রায় চল্লিশটি সেলাই দেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে গজারিয়া থানা পুলিশ গত শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাঈদ এ ঘটনার পর গ্রাম থেকে আড়ালে চলে গেছে। সাঈদ এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে। কিছুদিনের মধ্যে তার বিদেশে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, সাঈদ কোনভাবেই যেন দেশ থেকে পালিয়ে না যায়। যাতে পুলিশ সাঈদসহ সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে।