নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পানির পাম্প মেশিন চুরির ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা সাজাতে গিয়ে থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক হল একই গ্রামের ২ যুবক। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে এ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে, আড়ালিয়া গ্রামের রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য দীন ইসলামের বিরুদ্ধে। উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আটককৃত ২ যুবক একই গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে দেলোয়ার, ছোবহান মিয়ার ছেলে সুমন।
চোরাই মেশিনের মালিক আড়ালিয়া গ্রামের রুপ মিয়ার প্রতিপক্ষ একই গ্রামের বাছেদ, ইউছুফ, আলতাফ গং এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজাতে গিয়ে মামাত ভাই পুলিশ সদস্য দীন ইসলাম এ কাজ করেছে অভিযোগ আলতাফ, ইউছুফ গংদের। আলতাফ, ইউছুফসহ একই এলাকার ২০ থেকে ৩০ জন ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পুলিশ সদস্য দীন ইসলাম চুরির ঘটনাকে ডাকাতির মামলা সাজাতে দেলোয়ার ও সুমনকে দিয়ে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে অটোচালক ইয়াকুব মিয়ার গাড়িতে করে প্রথমে মুদারকান্দি খেয়া ঘাটে নেয়া হয়। সেখানে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহে ঘটনা প্রকাশ পেলে দেলোয়ার এবং সুমন জনরোষে পড়ে। তারপর থেকে পুলিশ সদস্য দীন ইসলাম দেলোয়ার ও সুমনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে শত শত লোকের সামনে আড়ালিয়া ষ্ট্যান্ড হয়ে ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছে। সেখানে একাধিক ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে দীন ইসলাম গজারিয়া থানা পুলিশের সামনে প্রভাব খাটিয়ে দেলোয়ার ও সুমনকে দিয়ে ঘটনায় আলতাফ, লাক মিয়াসহ প্রতিপক্ষের নাম প্রকাশ করিয়েছে। অটো চালক ইয়াকুব জানান, অভিযুক্ত দেলোয়ার তাকে মোবাইল করে এনে তাদের কেনা মেশিন রায়পাড়া নিয়ে যাবে বলেছে। তার গাড়ি মুদারকান্দি পৌঁছলে ঘটনা প্রকাশ পায়। ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন জানান, দীন ইসলাম অটো গাড়ি দিয়ে মেশিনসহ দেলোয়ার এবং সুমনকে নিয়ে অফিসে আসে। পুলিশ আসার পর আমাদের সামনে আটককৃত দেলোয়ার ও সুমন এক রকম বক্তব্য দিয়েছে। থানায় গিয়ে অন্য রকম বক্তব্য দিয়েছে।
ঘটনার নায়ক পুলিশ সদস্য দীন ইসলামকে মোবাইলে জানতে চাইলে প্রথমে নিজের নাম জানিয়ে প্রশ্নকারীর নাম পরিচয় সাংবাদিক জেনে গাড়িতে আছে এ কথা বলে সংযোগ কেটে দেন। পরে বারবার চেষ্টা করে সংযোগ না পেয়ে মতামত পাওয়া যায় নাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই উত্তম কুমার জানান, ইউপি সদস্যদের সামনে এক পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যাভাবে অন্য লোকদের ফাঁসাতে নাম বলেছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে এক লোক তাদেরকে দিয়ে চুরির কাজটি করিয়েছে। চুরির মামলায় ব্যবস্থা নিয়ে আটককৃতদেরকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।