নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া (বক্তারকান্দি) এলাকায় মাইক্রোবাসের সাথে কাভার্ড ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকার এ দূর্ঘটনা ঘটে। ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ এস এম রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার তিতাস থানার উত্তর বলরামপুর গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৫৭), একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে হোসাইন (১০), খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পূর্ব মুনলিমপাড়া গ্রামের আজারুল মিয়ার ছেলে বাসচালক জহিরুল ইসলাম (৪২)। আহতদের মধ্যে কুমিল্লার তিতাস থানা বলরামপুর গ্রামের আক্তার হোসেন (৩৯), গিয়াস উদ্দিন (৫০), মোমেন (৩৫), ইশা (১৪) এর নাম জানা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাস চালক গিয়াসউদ্দিন। চালকসহ মাইক্রোবাসটিতে মোট ছয়জন আরোহী ছিলেন। এসময় পেছন থেকে একটি কাভার্ভভ্যান মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি উল্টে গিয়ে পাশের ঢাকাগামী লেনে গিয়ে পড়ে। এসময় খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকাগামী শান্তি পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায় মাইক্রোবাসের দুই আরোহী দুলাল মিয়া ও হোসাইন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালক জহিরুল মারা যান।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের লাশ এবং দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস ও বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটিকে আটক করেছে। তবে চালক ও হেলপার কৌশলে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গজারিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
আগের পোস্ট