গজারিয়ায় নদীভাঙ্গনে বিপন্ন মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে মেঘনার শাখা নদীর ভয়ানক থাবায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রায় শতাধিক পরিবারের বাপ-দাদার ভিটেমাটি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর নিজ অর্থায়নে বারবার নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার চেষ্টা করেও মেঘনার শাখা নদীর ভয়ানক থাবার কাছে তারা নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষা করতে ব্যর্থ। সরেজমিন পরিদর্শনে ভুক্তভোগী হোসেন্দী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এলাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত মেঘনার শাখা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। স্থানীয় সমাজসেবক কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে ভাঙতে থাকে মেঘনার এই শাখা নদীটির তীরবর্তী এলাকা হোসেন্দী। তারা আরো জানায়, অনেকদিন যাবৎ ইউনিয়ন প্রশাসনের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছ থেকে কোনরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন তারা নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের কাছে আবারো জোর দাবি জানাচ্ছে যেন খুব দ্রুত গজারিয়ায় হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে মেঘনা নদীর ভয়ানক ভাঙ্গনের হাত থেকে তাদের ভিটেমাটি রক্ষা করা হয়। ভুক্তভোগী মোঃ জামাল মিয়া জানান, আমি ৪ বছর যাবত ১১ শতাংশ জমিটার জায়গাটা ভরাট করে বাড়ি তৈরী করি। কিন্তুু এ ভয়ংকর ভাঙ্গনের কারণে এখন বাড়িটার ১১ শতাংশের জায়গায় ৬ শতাংশই নাই। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করতে চাই, আমাদের হোসেন্দী আশ্রাব্দী নদী ভাঙ্গনের দিকে একটু নজর দেন। দয়া করে যাতে আমার মতো আর কাউকে ভিটেবাড়ি হারাতে না হয়। আমার মতো গরিব মানুষগুলোকে একটু বাঁচান। এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন জানান, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাজল, শাহআলমসহ আরো অনেক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে তারা একই অভিযোগ এনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এ বিষয়ে হোসেন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, আশ্রাব্দীতে নদীর তীরে ভাঙ্গন প্রতিরোধ সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আমাকে আশ্বাস দিয়েছে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোসেন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সরেজমিনে তদন্ত করে আমাকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত ভাঙ্গন রোধে এখানে বাঁধ নির্মাণ করার চেষ্টা করব।