নিজস্ব প্রতিবেদক
নামজারি রেকর্ড, দখল থাকা সত্ত্বেও মালিকানাধীন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রামদি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলাম গং। ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম জানান, গজারিয়া ইউনিয়নের প্রধানের চর মৌজায় সি এস ও এস এ ৬ দাগে, আর এস ৫ ও ৬ দাগে ১৬ শতক ভূমি তাদের নিজ নামে রয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার শাহানুর ফরাজী দ্বারা উক্ত জায়গার সীমানা নির্ধারণ করলে উল্লেখিত দাগে পরিত্যক্ত শুকনো খালটি ও রাস্তার কিছু অংশ আমাদের ব্যক্তি মালিকানার মধ্যে পড়ে। ওই দিন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাদের জায়গা নির্ধারণ করে সীমানার চতুর্পাশে পিলার পুঁতে দেয়। পরে আমরা আমাদের জায়গায় মাটি ভরাটের প্রক্রিয়া কাজ করলে একটি মহল খাল ভরাটের অভিযোগ তুলে। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মনিরুল ইসলাম জানান, উল্লেখিত মৌজার দুইটা রেকর্ডে খালের কোন অস্তিত্ব নেই। উক্ত মৌজায় ১৯৮২ সনে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল বলে চেয়ারম্যান আবু তালেবসহ অত্র এলাকার মুরুব্বিরা জানান।
এদিকে এ বিষয়ে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূঁইয়া জানান, আমি উপস্থিত থেকে সার্ভেয়ার শাহানুর ফরাজী দ্বারা সীমানা পরিমাপ করে যার যার বাড়ীর সীমানা নির্ধারণ করে পিলার পুঁতে দেই। পরে কে বা কারা এসিল্যান্ড অফিসকে জানান। এসিল্যান্ড অফিস সরেজমিনে গিয়ে ওই মাপ সঠিক পেয়ে তারা চেয়ারম্যানকে জানান, ভূমি অফিসের কোন খাস জমি নেই। তিনি আরো জানান, গত ২৫ এপ্রিল আমাকে নিয়ে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপিয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মনগড়া ও সাজানো গল্প। উল্লেখিত দাগে আমার জায়গাও নেই। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের হালটও না। ইউনিয়ন পরিষদ এই জায়গা ভরাট করবে এমন কোন প্রজেক্টও আমি দেইনাই। সুতরাং যেভাবে পত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মনগড়া ও সাজানো গল্প।