নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় গতকাল সোমবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার চালিয়েছেন গ্রামে-গঞ্জে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হেঁটে, আবার কেউ কেউ মোটরসাইকেলে, অটোরিকশায় ও ভ্যানে চড়ে শোডাউন করেন। জানা যায়, নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে কোনো সাধারণ ছুটি থাকছে না। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। এছাড়া ভোট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিতে পারবেন ভোটাররা। গজারিয়া উপজেলায় আগামীকাল ৫ জানুয়ারি ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট হবে। এদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা সমাপ্ত হয়েছে। ভোট দেয়াকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। গজারিয়া উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩৮ জন সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ২৩৬ জন ও সংরক্ষিত আসনে ৮১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৪০০ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪ হাজার ৫৯৬ জন নারী ও ৫৭ হাজার ৮০৪ জন পুরুষ রয়েছেন। মোট ৬৬টি কেন্দ্রে ৪৫০টি বুথে এসব ভোটার ভোট দেবেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ লিটন হোসেন জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়ন পর্যায়ের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হবে। শুধু ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবির মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। এক্ষেত্রে প্রতি উপজেলায় বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবলোকনের জন্য মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা নির্বাচনের পরেও দু’দিন চালু থাকবে।