নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ৪নং ভবেরচর ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে আনারপুরা গ্রাম হয়ে পাকা রাস্তা ভেঙে গর্ত ও জলাবদ্ধতা দুর্ভোগের শিকার সিএনজি-অটোরিকশাসহ ছোট পরিবহন চালক, চলাচলকারী যাত্রী ও এলাকাবাসী। গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড হতে আনারপুরা গ্রামের ব্রিজ পর্যন্ত একাধিক স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় পাকা সড়কে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চলাচলকারী যাত্রী, পরিবহন চালক ও এলাকাবাসী। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার অফিসসহ উপজেলার জরুরী কাজে যাতায়াত করে। আনারপুরা গ্রামের মৃত এমদাদুল সরকারের ছেলে জামান সরকারের বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতায় আসা-যাওয়া করছে সিএনজি, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট পরিবহন। আনারপুরা ভবেরচর, সিএনজি চালক হোসেন, নজরুল, আশরাফুল, অটো মিশুক চালক নাঈম, জাকিরসহ ৮ থেকে ১০ জন জানান, প্রায় ছয় মাস যাবত আনারপুর স্ট্যান্ড হতে আনারপুরা গ্রাম হয়ে টেঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদ যেতে রাস্তায় একাধিক স্থানে ছোট বড় গর্ত থাকায় যান চলাচলে খুব সমস্যা হয়। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতেই জলাশয়ের সৃষ্টি হয় রাস্তায়। দুর্ভোগে পড়ছে সিএনজি চালক, অটোরিকশা চালক এবং ছোট পরিবহনে চলাচলকারী নারী-পুরুষ যাত্রী। খানাখন্দপূর্ণ এই জলাশয়ের কারণে যাত্রীদের পরিধেয় পোষাক নষ্ট হচ্ছে। কখনো গাড়ি উল্টিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত ক্ষতির শিকার হচ্ছে অটো মিশুক চালক ও সিএনজি চালক। রাস্তায় জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানিতে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে দ্রুত সময়ে। সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ে রাস্তার এই খানা-খন্দকে ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত প্রত্যাশা। ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোহাম্মদ লিটন জানান, এলাকার গণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভা এবং উন্নয়ন সভায় রাস্তা সংস্কার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। মেরামত বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী ইশতাক আহমেদ মোবাইল রিসিভ না করায় মতামত পাওয়া যায়নাই।
গজারিয়ায় পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে দুই ইউনিয়নের এলাকাবাসী
আগের পোস্ট