নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১৫/১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন, কুকুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়রা লাঠি হাতে রাস্তায় বের হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকেই উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামে হঠাৎ করে ১০/১২টি কুকুরের দল গ্রামের রাস্তায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু, নারী, পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে তাড়িয়ে কামড়াতে শুরু করে।
আহতদের মধ্যে সাজেদা (২৬) স্বামী- মোঃ ফারুক হোসেন, মোসাঃ মারজিয়া (১৪) পিতা- মোঃ মজিবুর রহমান, ইভা (৮) পিতা- জাহাঙ্গীর, সাফিয়া খাতুন (৪৮) স্বামী- রাজা মিয়া, মাসুম বিল্লাহ (১২) পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, কুকুরগুলো ঠিক কি কারণে ক্ষিপ্ত হলো তা বুঝতে পারছেন না, তবে প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসলে কুকুরের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়।
এ ঘটনার সততা স্বীকার করে গজারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ আসাদুল কবীর বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে ভীষণ কষ্টে আছি। একাধিক শিশুসহ ১৫/১৬ জন মানুষকে আজই কুকুরে কামড়ালো। অনেককে ঢাকা প্রেরণ করতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কুকুর জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত মানুষকে কামড়ায়।
অমানবিক হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সাল থেকে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। তবে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে কুকুর পিটাতে থাকে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগী নিয়ে অনেকে পড়ছেন বিপদে। তারা অতিরিক্ত দাম দিয়ে জেলা সদর ও রাজধানী ঢাকা থেকে ভ্যাকসিন কিনেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুবাশশির বিনতে আলম জানান, হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন বরাদ্দ নেই। তবে আজকের এই ঘটনার পর দ্রুত জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন বরাদ্দের চেষ্টা করবো।
গজারিয়ায় পাগলা কুকুরের উপদ্রব, কামড়ে শিশুসহ ১৬ জন আহত
আগের পোস্ট