নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া থানায় ১টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছে পুলিশ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদের নির্দেশনায় সারাদেশের ৬১৩টি থানার ৬১৩টি গৃহহীন অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে একটি করে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ ইতিমধ্যেই গৃহহীন পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করে ২ শতক জমি ক্রয় করে তার উপর পাকা ঘর তৈরি করে সুবিধাভোগীদের হাতে তা হস্তান্তর করেছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের আবেদন করেও ঘর না পাওয়ায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন এর স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৫৯) গজারিয়া থানা পুলিশের নিকট আবেদন করেন।
গজারিয়া থানার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ যাচাই-বাছাই করে একটি হতদরিদ্র পরিবারের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গজারিয়া ইউনিয়নের গোসাইরচর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও মানবতাবাদী মোঃ মহিউদ্দিন ঠাকুরের পিতৃসম্পত্তির ২ শতাংশ জমি নিয়ে দানকৃত জায়গার নয়ানগর এলাকায় ঘর নির্মাণ করে দেন বাংলাদেশ পুলিশ। নতুন ঘর পেয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বিধবা রুবিয়া বেগম।
এ বিষয়ে রুবিয়া বেগম বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন ঘর পাব তা কখনও ভাবতে পারিনি। এখন যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার স্যারসহ গজারিয়া থানার সকল পুলিশ এবং জমিদাতা মহিউদ্দিন ঠাকুরের জন্য দোয়া করতে থাকব। কারণ আমার কাছে এটাই সম্বল আছে। মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্ত আমার দোয়া তাদেরকে দিতেই থাকব।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন বলেন, পুলিশ সুপারসহ আমার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনায় গজারিয়া থানা এলাকায় একটি হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে একজন গর্বিত মানুষ মনে হচ্ছে। নিজের ভিতরে প্রশান্তি লাগছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশনায় মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে প্রতিটি থানায় একটি করে গৃহ তৈরি করে দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পুলিশের অন্যান্য ভালো কাজের সাথে যুক্ত হলো আরও একটি ভালো কাজ।