নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জামালদী বাসস্ট্যান্ড ও বাউশিয়া পাখির মোড় এ দুটি (২) ফুটওভার ব্রীজে আলোর ব্যবস্থা করার দাবী উঠেছে। এ ফুটওভার ব্রিজ জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকেই এ দাবী করে আসছিল জনসাধারণ। কারণ, রাত যত গভীর হয় এ ব্রিজ যেনো তার নিরাপত্তা হারাতে থাকে। এ ব্রিজগুলো মেইন স্ট্যান্ড থেকে ৩০০-৫০০ ফুট দূরে হওয়ায় রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার একটা বিরাট ঝুঁকি থাকে জনসাধারণের, বিশেষ করে মেয়েদের। গজারিয়া মহাসড়কে বাসস্ট্যান্ডগুলোর মধ্যে জামালদী বাসস্ট্যান্ড ও পাখির মোড় মেইন বাসস্ট্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। জামালদী বাসস্ট্যান্ড দিয়ে ২৪ ঘন্টা মানুষের যাতায়াত চলমান থাকে। ফলে এ মহাসড়ক পার হওয়ায় জন্য এ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। প্রতিদিন এই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে হোসেন্দী, জামালদী, টেঙ্গারচর, গজারিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ তাদের কর্মস্থানে যায় আবার একই পথে বাসস্থানে ফিরে। এতে রাতে অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ে ওভারব্রিজটি পার হতে হয়। একে তো নেই কোন আলোর ব্যবস্থা তার উপর ব্রিজের ওপর ছিনতাই হওয়ার ভয়। বিশেষ করে নারীদের। এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ব্রিজটি ব্যবহার করা মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া নামে একজনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ব্রিজ দু’টির উপর দিয়ে রাতে চলাচল করতে সাধারণ জনগণকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। রাতে এ পথ দিয়ে নারীযাত্রীসহ বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বৃদ্ধ বয়সী নারী-পুরুষ এ ফুটওবার ব্রিজ ব্যবহার করে। তাই কর্তৃপক্ষকে এই ফুটওভার ব্রিজে আলোর ব্যবস্থা বা এলইডি লাইট এর ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। ৬১ বছর বয়সী নাজমা বেগম জানান, আমার মেয়ের জামাইয়ের বাসা ভবেরচর হওয়ায় আমাকে কিছুদিন পরপর এই পথ দিয়ে যেতে হয় মাঝে মাঝে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। আর এই ব্রিজ দিয়ে রাস্থা পার হতে হয়। তাই যারা এই ব্রিজটা বানিয়েছে তাদের কাছে আবেদন করতে চাই যাতে এখানে লাইট বা আলোর ব্যবস্থা করে দেয়। আরেক পথযাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি ঢাকাতে চাকরি করি। আমি জামালদী বাসস্ট্যান্ড দিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বাসায় আসি। আমার অফিসের কাজ শেষ করতে করতে মাঝে মাঝে অনেক রাত হয়ে যায়। ফলে আমাকে রাতেই বাসায় ফিরতে হয়। আমি যখন রাতে এই মহাসড়ক ফুটওভার ব্রিজের মাধ্যমে পার হই তখন অন্ধকারের জন্য এ ব্রিজটির ওপর ওঠা কষ্টকর হয়। তারপর আবার ব্রিজটি নিরব থাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ারও একটা সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন বখাটে ছেলেদের মাধ্যমে মেয়েরা ইফটিজিংয়ের শিকারও হতে পারে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব এই ব্রিজ দু’টির ওপর আলোর ব্যবস্থা করার। এ বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ জানান, আমরা মহাসড়কে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ কাজে ব্যস্ত থাকি। আবার ব্রিজটি অন্ধকার থাকায় ব্রিজটির ওপর কি হচ্ছে, কে যাচ্ছে, কে আসছে তা ফাইন্ড আউট কারা কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা যাতে করে জনগণকে আরো ভালো সেবা দিতে পারি কর্তৃপক্ষ যেনো এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে খুব দ্রুত এই ব্রিজ দু’টির ওপর আলোর ব্যবস্থা করে দেন।
গজারিয়ায় ফুটওভার ব্রিজে আলোর ব্যবস্থা করার দাবী
আগের পোস্ট