নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের রঘুরচর গ্রামের কৃষক রবিউল মিয়ার সরকারি বন্দোবস্ত জায়গায় স্ট্যাম্প করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ রবিউল মিয়া জানান, গত ১৩ বছর পূর্বে তার ছেলে বিদেশ যাওয়ার সময় একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ধার নেওয়ার সময় মহিউদ্দিন মোল্লা আমানত হিসেবে জমির মালিক রবিউল ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের তার দখলকৃত রঘুরচর মৌজায় ১৪৪ খতিয়ান, চর্চা/আরএস ২২৭/২৪১, ১৫৪/১৬৬ জমির কাগজ ও সাদা কাগজে টিপসই নিয়ে ৫০ হাজার টাকা ধার দেয়।
তিনি আরো জানান, টাকা নেওয়ার ৬ মাস জমির কাগজ ও টিপসইকৃত সাদা কাগজ ফেরত চাইলে মহিউদ্দিন মোল্লা দিতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, তার জমি তার কাছে বিক্রি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সুরাহা করতে চাইলেও মহিউদ্দিন মোল্লা জোর করে আমার জায়গা দখল করে আছে। স্ট্যাম্প ফেরত ও জমিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে তিনি জানান। পরে কৃষক মোঃ রবিউল মিয়া এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গজারিয়া থানার এএসআই জহির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কোর্টে লিখিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি রবিউলের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমিটি ক্রয় করেছি। ক্রয় করে একই এলাকার মহেলা বেগমের কাছে ১৫ শতাংশ ও ফিরোজ মোল্লার কাছে ২০ শতাংশ জায়গা বিক্রী করি। রবিউল মিয়ার অভিযোগটি সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, সরকারি সম্পত্তি যেগুলো ৯৯ বছর বন্দোবস্ত দেয়া হয় হস্তান্তর করার কোন অপশন নাই। আমাদের যে কবুলাত ফ্রমে আছে সেখানে লেখা আছে, এই সম্পত্তি নিজের ওয়ারিশ ছাড়া নিজে মারা না গেলে হস্তান্তর করতে পারবে না। অন্য কেউ ক্রয় করে থাকলে সে বোকামি করেছে।