নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বহুল প্রত্যাশিত জামালদী বাসষ্ট্যান্ডে নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলছিল মন্থর গতিতে। গত ২০১৯ সালের জুন মাসে কন্সট্রাকশন কাজ শুরু হয় কিন্তু আজও নির্মাণ কাজ শেষ হয় নাই। গত ক’দিন যাবৎ আবার শুরু হয়েছে পুরোদমে।
এ এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি ছিল এই ফুটওভার ব্রীজ, বালুয়াকান্দি, টেঙ্গারচর, হোসেন্দী ও গজারিয়া ইউনিয়ন এর লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এই ষ্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করে,জামালদী ও মেঘনাঘাট শিল্পাঞ্চল হওয়ায় লোকসংখ্যা তুলনামূলক বেশী। জামালদী, লস্করদী, ভাটেরচর, টেঙ্গারচরের জনসাধারণের দৈনন্দিন বাজারঘাট করে তেতৈতলা মেঘনা ঘাট বাজারে। জামালদী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রয়েছে সুবিশাল ক্যাম্পাসের হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্র/ছাত্রী অধ্যায়নরত। প্রতিদিনই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ছাত্র/ছাত্রী আসছে। এখানে রয়েছে বেসরকারি তিনটি ক্লিনিক, মার্কেট, ব্যাংক বুথসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জামালদীতে অবস্থিত হাজী সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়। নিউ সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ে যেমন বালুয়াকান্দি /তেতৈতলা গ্রামের ছেলে-মেয়ে পড়ে তেমনি বালুয়াকান্দি ডাঃ আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজেও ভাটেরচর, জামালদীর ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করতে এই রাস্তা ব্যবহার করে।
এই সড়কে প্রায় প্রতিদিন ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটে। এ পথে চলাচলরত সোনারগাঁও মহিলা কলেজ এর একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী পাপিয়া আক্তার বলেন, প্রতিদিন রাস্তা পারাপারের সময় আল্লাহর নাম জপতে থাকি। তেতৈতলা গ্রামের দোকানদার মোস্তাক আহমেদ বলেন, মেঘনা-২ নতুন ব্রীজ নির্মাণ হওয়ার পর গাড়ি চালকরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। রাস্তা পারাপারের সময় মনে ভয় নিয়ে চলতে হয়।
এ বিষয়ে দেশী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কন্সট্রেস পাওয়ার ট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ এর সাইড ইনচার্জ মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, মহামারী করোনার কারণে কাজে বিঘœতা ঘটলেও এখন আবার তা পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওসজিআই এর ইঞ্জিনিয়ার মাসুম বলেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে।