নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তাঘাটগুলোতে এখন ক্ষত চিহ্ন ভেসে উঠেছে। বসতবাড়ি ভেঙ্গে যাওয়া গজারিয়া উপজেলার গোয়ালগাঁও, ইসমানির চর, নয়ানগর মানুষের জীবন চিত্র এখন অন্যরকম। বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তাদের সামনে এখন ভেসে উঠছে ভাঙ্গাচুরা আর খন্ড-বিখন্ড চিত্র। বানের পানি কমতে থাকলেও তাদের মুখে নেই কোন হাসি আর আনন্দ। বুক ভরা কষ্ট নিয়ে শুধু তাকিয়ে থাকে নদীগর্ভে চলে যাওয়া ক্ষত স্থানগুলোর দিকে। কি হবে এখন? একে করোনা আবার বন্যা এইসব মিলিয়ে যেন এক বিভীষিকাময় জীবন পার করতে হচ্ছে এই অসহায় মানুষগুলোকে। সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার গজারিয়া উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা দ্বীন ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানায়, আমরা আছি এক অতিষ্ঠ জীবনযাত্রার মধ্যখানে। আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে অনেক কষ্টের মাধ্যমে। করোনার কারণে না পারছি আমরা ঠিকমতো কাজ করতে আর না পারছি ঠিকমতো ভালোভাবে বাঁচতে। আর আমরা যে খাদ্য সামগ্রী উপহার পাই তা দিয়ে আমাদের তো আর সবসময় চলেনা। তাই অনেক কষ্টে আমরা জীবনযাপন করছি। তাই এই বন্যার পানি কমলেও কমেনি আমাদের দুর্ভোগ। কি জানি কবে যেন শেষ হবে আমাদের এই দুশ্চিন্তা। আর রাতেও ঘুমাতে পারিনা দুশ্চিন্তার কারণে, জানিনা কি হয় কিছুই বলতে পারি না এই বলে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে নদীর দিকে। গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খোকন নেকী জানান, গজারিয়া উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অসহায় মানুষদের সরকারী ও বেসরকারীভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গত বুধবার গজারিয়া উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক ও স্থানীয় এমপি মৃণাল কান্তি দাস পরিদর্শন করে বলেছেন, নদী ভাঙ্গন রোধে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এই কাজগুলো করলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে। যেই রাস্তাঘাটগুলোর ক্ষতি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা খুবই আন্তরিক।
গজারিয়ায় বানের পানি কমলেও কমেনি জনমানুষের দুর্ভোগ
আগের পোস্ট