নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নতুন চরচাষী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাধা দেয় ধর্ষক আকাশ ও সালাহউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এসময় তাদের মারধরের শিকার হন তার মা, বড় বোন ও দুলাভাই। এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে তার ভাবি নাছরিন আক্তার জানান, গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মামাতো বোন বসতঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় স্থানীয় একই এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৮) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাহউদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে। তাদের কাছ থেকে বাঁচতে চিৎকার করে সে। তবে পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়ীতে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ পরিবারের লোকজন শুনতে পায়নি। ধর্ষণ শেষে তাকে বসতভিটায় ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরে আসলে সে কোন রকমে তার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তার মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে তার বড় মেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে গত শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা দুইজনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গজারিয়া থানার এসআই মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ফোন পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে উপজেলা থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংঘবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখে সামনে আগাচ্ছেন তারা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকদের দুই আত্মীয়-স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক নেতাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে
গজারিয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
আগের পোস্ট