হাসপাতালে দেখতে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় সিএনজির যাত্রী উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা আহত হয়। এ বিষয়ে আহত ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ আহমেদ সুমন বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার একটি মামলাটি দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত আনুমানিক পৌনে ৮টায় উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে আনারপুরাগামী সিএনজিচালিত একটি বেবী ট্যাক্সি মহাসড়কের আলীপুরা এলাকা অতিক্রমের সময় মুখোশ পড়া ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল সিএনজিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় তারা ১৫ থেকে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ওই দলটি জিয়ার সৈনিকেরা এক হও, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কারাবন্দী কামরুজ্জামান রতনের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
ভাঙচুর হওয়া সিএনজির চালক গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের উত্তর শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া জানান, তিনি তিনজন যাত্রী নিয়ে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে আনারপুরা যাচ্ছিলেন। ঘটনার পরপর গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, আহত ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ আহমেদ সুমন গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় যুবদল নেতা মমিন মৃধাকে এক নম্বর আসামি করে ৪৫ জন নামীয় ও ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে আহত ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ আহম্মেদ সুমনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। এসময় তিনি আহত ছাত্রলীগ নেতার খোঁজখবর নেন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।