নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের ইউপি সদস্য বিএনপির সমর্থক মোঃ ইলিয়াস প্রধানকে গত শুক্রবার রাতে নিকট আত্মীয়ের জানাজা শেষে ফেরার পথে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে মহাসড়কের ভিটিকান্দী এলাকায় সিএনজি, অটোরিকশা ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা করা হয়। মোঃ ইলিয়াস প্রধানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেই মামলায় এজাহারনামীয় না হলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুমন হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে গেল বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত পুলিশ গজারিয়া উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামের ওহাব আলী সরকারের ছেলে জসিম সরকার (৫০), একই গ্রামের খোরশেদ বেপারীর ছেলে শাহ আলম (৩৫), ইমামপুর ইউনিয়নের করিমখাঁ গ্রামের লিয়াকত আলী সরকারের ছেলে মহসিন সরকার (৩৫), একই এলাকার মোহন সিকদারের ছেলে মো. মাসুম সিকদার, টেঙ্গারচর ইউনিয়নের টেঙ্গারচর গ্রামের মৃত অলিউল্লাহর ছেলে আব্দুল গাফফার (৫০), গজারিয়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মৃত বাবার আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৫৫), হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেন ফরাজির ছেলে মো. ইসমাইল ফরাজি (২৮), একই গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (৫২), ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে ইলিয়াছ প্রধান (৫০) ও একই ইউনিয়নের ভবেরচর মধ্য পাড়া মহল্লার ইমান হোসেনের ছেলে হানিফ প্রধান সাদ্দাম (২৫)। তারা গজারিয়া থানা বিএনপি সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তবে তাদের পদ পদবি জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল হুদা জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে গেল ৩০ নভেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভিটিকান্দি এলাকায় সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কারাবন্দী কামরুজ্জামান রতনের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী জানান, ইতিমধ্যে ১০ জন নেতাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।