নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতনের মুক্তি দাবী ও ছাত্রলীগ কর্মী আহতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রুজু করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে গজারিয়া থানার পুলিশ। গত শুক্রবার ৪ জন, শনিবার ৬ জন এবং গতকাল রবিবার ২ জনসহ সর্বমোট ১২ জনকে আটক করার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আটককৃতরা হলেন- উপজেলার টেঙ্গারচর গ্রামের মৃত অলিউল্লাহর ছেলে আঃ গাফফার (৫০), দড়িকান্দী গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৫৫), ভবেরচর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল কালামের ছেলে হানিফ সাদ্দাম, ইসমানিরচর গ্রামের মৃত আঃ বাতেনের ছেলে ইসমাইল (২৮), মৃত মনিরের ছেলে আঃ খালেক (৫০), নয়াকান্দী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে ভবেরচর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইলিয়াস প্রধান (৫০), বিশদ্রোন ভাটেরচর গ্রামের মৃত মহসিন প্রধানের ছেলে আমিনুল ইসলাম স্বপন, তেঁতৈতলা গ্রামের হাজী মিজানুর রহমান দেওয়ানের ছেলে মোঃ মুখলেছুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃত সবাই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গজারিয়া থানার এস আই ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল হুদা জানান, গত ৩০ নভেম্বর রাত আনুমানিক পৌনে ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ, যানবাহন ভাঙচুর ও সুমন হোসাইন আহতের ঘটনায় সিএনজির আহত যাত্রী ছাত্রলীগের কর্মী সুমন হোসাইন বাদী হয়ে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউপির নতুনচর গ্রামের সাইজুদ্দিন মৃধার ছেলে যুবদল নেতা মমিন মৃধাকে প্রধান আসামী করে ৪৫ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামী করে মামলাটি রুজু করেছে।
গজারিয়া থানা বিএনপির মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইদ্রিস মিয়াজী ভিপি মোহন দাবী করেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত না। নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে সাজানো মামলা করা হয়েছে।
আটককৃতদের মুন্সীগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।