নিজস্ব প্রতিবেদক
“মুজিববর্ষে শপথ করি প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি” –এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গজারিয়া শাখার যৌথ উদ্যোগে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা হলরুমে পালিত হলো বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গজারিয়া উপজেলার সভাপতি এস এম নাসির উদ্দিন, বাউশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল, গজারিয়া উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ফারহানা খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বাবুল হোসেন, কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গজারিয়া উপজেলার সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, দৈনিক সমকালের গজারিয়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন, ফাল্গুন টিভির গজারিয়া প্রতিনিধি সোলাইমান, বিচিত্র সংবাদের বার্তা সম্পাদক আব্দুল হাকিম, নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। সভায় বক্তারা রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার বর্জ্য দূষণে কার্যকরী পদক্ষেপ ও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করেন। গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি রাখা প্রয়োজন। ভোক্তা অধিকার সর্বজনীন। পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও গুণগত মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি এর যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন জরুরি। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যেকোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তাই, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পলিথিন ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের জনগণের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিষয়ে অধিক মনোযোগী। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে আমাদের সরকার ২০০৯ সালে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ প্রণয়ন ও আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। উন্নত নাগরিক জীবনের অন্যতম সূচক হচ্ছে নিরাপদ পণ্য ও উন্নত পরিসেবা পাওয়ার অধিকার। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ব্যবসায়ী ও ভোক্তার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। সকল ব্যবসায়ী ও ভোক্তার প্রতি আমার অনুরোধ, প্রত্যেককেই অধিকার সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে। তাহলেই একটি সুস্থ, আস্থাশীল বাজার ব্যবস্থা তৈরি হবে, যার ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।