নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ার সারাদেশের ন্যায় ভোজ্যতেলের গভীর সংকট দেখা দিয়েছে। দোকানে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না তেল। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক দোকানেই ভোজ্য তেল নেই। আবার কিছু দোকানে তেল মিললেও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে নতুন বাড়তি দামে তেল কিনছেন। আবার কাউকে তেল না কিনে খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে।
জানা যায়, সরকার কর্তৃক গত বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেলর দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হবে ১৯৮ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম হবে ৯৮৫ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকা বিক্রি হবে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা গেছে, ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলে দাম লেখা আছে ১৬৮ টাকা, কিন্তু বিক্রি করছে ১৯৮ টাকা। অথচ নতুন দামের তেল এখনো বাজারে আসেনি। এভাবে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে ৭৬০ টাকা মৃল্য লিখা থাকলেও আদায় করা হচ্ছ ৯৮৫ টাকা।
আবার কোন কোন দোকানে তেল কিনতে দেওয়া হচ্ছে শর্ত, ক্রয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে অন্যান্য পণ্য। তেল কিনতে গিয়ে ঘরে থাকার পরও অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ীরা তেল বিক্রি করছে না।
সার্বিক বিষয় নিয়ে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জের পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, পুরনো তেল কিছুতেই নতুন দামে বিক্রি করতে পারবে না। আমাদের অভিযান চলমান আছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট দিয়ে চলে গেলে চলবে না দৃষ্টি রাখা উচিত এবং সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করতে হবে।