নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় ৫০ বছরের পুরনো একটি জামে মসজিদ উচ্ছেদ করায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায় মসজিদ উচ্ছেদ করে দখলে নিতে পুলিশ গেলে এলাকাবাসী দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। এসময় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ইমামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মেম্বার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মাথাভাঙ্গা (বড় পাঁচআনী) এলাকায় ৫০ বছরের পুরনো একটি জামে মসজিদের আংশিক গতকাল বুধবার ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ওই মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, আরবি শিক্ষাকেন্দ্রও রয়েছে। বিশ্বে এই প্রথম কোনো সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে। সরকার যেখানে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করছে সেখানে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না করেই ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থরক্ষায় মসজিদ ভেঙে চলছে। আমরা আহ্বান করবো প্রশাসন যেন তার এই কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে। ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, মাথাভাঙা গ্রামের বড় পাঁচআনী মহল্লার প্রথম জামে মসজিদ এটি। জন্মের পর থেকে আমরা আরবি শিক্ষা ও নামাজ আদায় করে আসছি। গজারিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ খতিয়ানের জমি থাকলেও সেগুলো উচ্ছেদ না করে ধর্মীয় স্থাপনা মসজিদ উচ্ছেদে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার কাছে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ এটি। তিনি দাবী করেন, এখানে কোন মসজিদ ছিলো না। এখানে একটি অটোরিকশা গ্যারেজ ছিল।
গজারিয়ায় মসজিদ উচ্ছেদ করায় দফায় দফায় বিক্ষোভ
আগের পোস্ট