নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দিয়ে উপজেলা পরিষদ ভায়া রসুলপুর, সোনালী মার্কেট টু মুন্সীগঞ্জ সদর মহাসড়ক রয়েছে। গজারিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ভবেরচর হওয়ায় প্রতিদিন শত শত হাজার হাজার লোকের যাতায়াত হচ্ছে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, মুন্সীগঞ্জ সদর, পার্শ¦বর্তী থানা মতলবে। আসা যাওয়া করছে শত শত সিএনজি, মিশুক ও পণ্যবাহী ছোট বড় ট্রাক এবং লরি পরিবহন গাড়ি। গতকাল সোমবার সকালে কয়েকজন সিএনজি ও মিশুক চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়ক সংলগ্ন আলাদা সিএনজি ও মিশুক গাড়ির রাখার জায়গার অভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও চলাচলের দুর্ভোগে পড়ছে যাত্রীসহ পণ্যবাহী পরিবহন গাড়ি। সিএনজি চালক আঃ হক, রেনু মিয়া, রিপন মিয়া, কবির হোসেন, কামাল হোসেন সহ ১০ থেকে ১৫ জন জানান, সিএনজি ও মিশুক গাড়ির আলাদা স্ট্যান্ডের অভাবে এখানে গাড়িতে উঠতে এবং নামতে হয়রানির শিকার ও দুর্ভোগে পড়তে হয় চালক এবং যাত্রীদের। ব্রিজ সংলগ্ন এ স্ট্যান্ডে রাস্তার দুইপাশে আছে নানান ধরনের দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। দোকান ও ব্যবসার সুবিধা রক্ষা করতে রাস্তার দুইপাশে দোকান সংলগ্ন ৩ ফুট করে ফাঁকা রেখে গাড়ি অবস্থান করায় প্রায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কাছাকাছি গজারিয়া থানা এবং হাইওয়ে ফাঁড়ি থানা থাকায় কিছু দিন পরপর পুলিশের ধাওয়া খেতে হচ্ছে। মহাসড়ক সংলগ্ন জনবহুল জনাকীর্ণ এ সিএনজি স্ট্যান্ড হওয়ায় মহাসড়ক পারাপারে প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন জানান, জনপ্রতিনিধি নয়, মানুষের সেবক হিসেবে এলাকার জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ নিরসনে মহাসড়ক সংলগ্ন ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে আলাদা সিএনজি ও মিশুক গাড়ি রাখার স্ট্যান্ড তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। উপজেলা পরিষদ থেকে একটি বাজেট অনুমোদন হয়েছে। বাস্তবায়ন করা হলে জনদুর্ভোগসহ অবসান হবে দূর্ঘটনার।
গজারিয়ায় মহাসড়ক সংলগ্ন আলাদা সিএনজি ও মিশুক স্ট্যান্ড স্থাপনের অভাবে দুর্ভোগে যাত্রীসহ পণ্য পরিবহন
আগের পোস্ট