নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বীকৃতি না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার মেঘনা ভিলেজ হাইওয়ে ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও স্বীকৃতি বঞ্চিত মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএলএফ (মুজিব বাহিনীর) মুক্তিযুদ্ধকালীন সহকারী উপজেলা কমান্ডার আকম আক্তারুজ্জামান কামাল বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গজারিয়া উপজেলা শত্রুমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনীর। ভারতের উত্তর প্রদেশের দেরাদুন ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসেছিলেন কেবল তাদেরই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এ বাহিনীর অধীনে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেসকল মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বঞ্চিত হন। মুক্তিযোদ্ধা এবিএম জামাল উদ্দিন জানান, শহীদ নজরুল ছিলেন গজারিয়ার বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনীর প্রধান। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী গজারিয়ায় দশটি ক্যাম্প গড়ে তোলে, তাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উন্নত অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল। সেজন্য ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর শহীদ নজরুল ইসলাম ভারতে যান, তিনি যখন দেশে ফেরেন (৮ ডিসেম্বর) তখন গজারিয়ার বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনী দুইভাগে বিভক্ত। একভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আকম আখতারুজ্জামান খান কামাল আর দেশে ফিরে আরেক ভাগের নেতৃত্ব দেন নজরুল ইসলাম নিজে। ৯ ডিসেম্বর যুদ্ধে নজরুল ইসলাম শহীদ হওয়ায় আখতারুজ্জামান কামালের অধীনে যুদ্ধ করা বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনীর সদস্যদের স্বীকৃতি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।