নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামে ইমন আহম্মেদ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। জনমনে প্রশ্ন হত্যা নাকি আত্মহত্যা? গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় উপজেলার তেতৈতলা গ্রামের দড়িগাঁও মহল্লার আলাউদ্দিন আলোর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ইমন আহম্মেদ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ইমন আহম্মেদের ঝুলন্ত লাশ দরজার ছিদ্র দিয়ে দেখতে পায় তার সৎ মা শেফালী বেগম। পরে শেফালী বেগম ছেলের লাশ দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ইমন আহম্মেদের বড় ভাই জুম্মন জানান, ইমন আমার বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করতো। বেশ কয়েকদিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে ইমন ও তার স্ত্রী বর্ষার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী বর্ষা স্বামীকে রেখে পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও থানাধীন তার পিত্রালয়ে চলে যায়। স্ত্রী যাওয়ার পাঁচদিন পরে খাটের ওপর সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ইমনের লাশ দেখতে পাই। তিনি আরো জানান, আমার ভাই ইমন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার এই মৃত্যু আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
ইমনের স্ত্রী বর্ষা বেগম জানান, গত সোমবার রাত ৯টায় আমার স্বামীর সাথে শেষ ভিডিও কলে কথা হয়। তখন সে হাসিখুশি ছিল। আমাকে বলল, তোমাকে ছাড়া আমার আর ভাল লাগে না তুমি চলে আসো। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে স্বামীর বাড়িতে আসি। স্বামী ইমনের ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখে আত্মহত্যা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।
এদিকে লাশ উদ্ধার করার সময় নিহতের খাটের সাথে পা লেগে ছিল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
গজারিয়ায় যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল, আত্মহত্যা নাকি হত্যা
আগের পোস্ট