নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বিনা অনুমতিতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করায় মামলা করতে চায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তিতাসের অভিযানের পর গতকাল শনিবার মামলা করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার মধ্য ভাটেরচর থেকে মিরেরগাঁও পর্যন্ত গতকাল শনিবারের অভিযানে প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এসময় এক্সক্যাভেটর দিয়ে একাধিক রাস্তা খোঁড়া হয়। সংস্থাটির নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) প্রকৌশলী ইমাম উদ্দিন শেখ জানান, ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অভিযানে মধ্য ভাটেরচর থেকে মীরেরগাঁও পর্যন্ত কয়েকটি রাস্তায় প্রায় আট কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়। এসব লাইনে কয়েক হাজার সংযোগ চলত। এসময় তিতাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে এলজিইডির কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, যদি এলজিইডি চায়, আমরা ক্ষতিপূরণ দিব। এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদ জানান, অভিযানের আগে তিতাস কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে অনুমতি নেয়নি। স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছেন, কয়েকটি এক্সক্যাভেটর দিয়ে রাস্তা কেটে গ্যাসের পাইপ উঠানো হয়েছে। এতে রাস্তার অন্তত ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, রোববার তারা ওই সব রাস্তা পরিদর্শনে যাবেন। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। জনস্বার্থ বিবেচনায় প্রয়োজনে তারা মামলা করবেন। স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ডালিম বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগে তিতাস কর্তৃপক্ষের প্রতি মাসে অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে কিন্তু যেভাবে রাস্তা কাটা হয়েছে সেখানেও সরকারের অনেক টাকা নষ্ট হয়েছে। এসব সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাধারণত উপজেলার ভেতর অভিযান চালানোর আগে ইউএনওকে জানায় তিতাস কর্তৃপক্ষ। তবে গতকাল শনিবারের অভিযানের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কি না সেটিও তার জানা নেই।